মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। দেশের দক্ষিণ জনপদের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার সময়সূচি কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, তার একটি ব্যাখ্যা দিলেন ।
তিনি বলেছেন, সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য কিছু সরঞ্জাম আসে ইউরোপ থেকে, ইউক্রেইনে হঠাৎ করে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ায় সেসব সরঞ্জাম আনায় বিঘ্ন ঘটছে।
তবে বুধবার সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।”
পরে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানাতে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে পদ্মা সেতু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
চলতি বছরের জুন মাসেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে বলে এতদিন আশা প্রকাশ করে আসছিলেন সরকারের মন্ত্রী ও সচিবরা।
পদ্মা সেতু কবে খোলা হবে জানতে চাইলে তিনি শুরুতে বলেন, “আমরা বলেছি ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু আমরা ওপেন করে দেব।”
এ সময় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আসলে তো পদ্মা সেতু শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ২০২২ এর ডিসেম্বর। আমরা চেষ্টা করছি যে যদি সম্ভব হয়, দেখা যাক, আমি উনার (প্রধানমন্ত্রী) সাথেও কথা বলব, উনি কি বলেন।”
“এ জন্য আমার মনে হয়, আমাদের একটি সেইফটি মেজার…. আমাদের টাইম আছে ২০২২ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মালামাল আসবে। কিছু কিছু মালামাল আছে, যেগুলো একটা বা দুটো দেশই পৃথিবীতে বানায়। এখন এমনিতেও কোভিডের জন্য আসতে দেরি হচ্ছিলো এখন যুদ্ধের কারণে দেরি হচ্ছে।”
বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় পূর্ণ আকৃতি পায় স্বপ্নের সেতু, যুক্ত হয় পদ্মার দুই পাড়।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।