চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে চুল পড়ে যাওয়া। Hair Lose Solutions | Ekushe News

 

 

চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে চুল পড়ে যাওয়া।




এর সমাধান খুজতে যাওয়ার আগে আসলে দেখা উচিত চুল পড়ছে কেন ? ?

বংশগত কারণ, মাথার ত্বক পরিষ্কার না রাখা, মানসিক চাপ, কম ঘুম, হরমনের সমস্যা, শরীরে প্রয়োজনীয় প্রটিনের। ঘাটতি থাকা, পানির সমস্যা ইত্যাদি কারনে চুল পড়ে। তাই প্রথমেই কারণ খুঁজে সেই অনুযায়ী আপনাকে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাই শ্যাম্পু বদলে ফেলা বা নতুন কন্ডিশনার ব্যবহার করা বা নতুন কোন হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করার চাইতে আগে নিজের জীবন যাত্রা প্রণালী পরিবর্তনের চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন। শরীরে প্রটিনের ঘাটতি পূরণ করুন। দিনে দুবার করে। চুল আঁচড়াবেন। সপ্তাহে বার চুলে অয়েল ম্যাসাজ দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলবেন মাথায় খুশকি থাকলে বা চুলকালে নখ দিয়ে চুলকাবেন না।



খুব জোরে চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়াবেন না।এতে চুল পড়ে গেলে ওই জায়গার কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তখন আর ওই কোষ থেকে নতুন চুল গজায় না। তাই মাথার ত্বক খুব জোরে জোরে নখ দিয়ে চুলকানো চিরুনি দিয়ে জোরে আঁচড়ানাে থেকে বিরত থাকুন। নতুন কোন হেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার করার চাইতে কিছুদিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিয়ে দেখতে পারেন চুল পড়া বন্ধ করতে। মাথায় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। নিজের জন্য আলাদা চিরুনি এবং গামছা তোয়ালে ব্যবহার করুন। নিজের চিরুনি, গামছা, তোয়ালে, বালিশের কভার প্রতি সপ্তাহে ধুয়ে দিন। আপনার মাথার ত্বক তেলতেলে হলে বা খুশকি থাকলে মাথা ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। তবে প্রতিদিন শ্যাম্পু করা যাবে না। ভিজা চুল। আঁচড়াবেন না। ভিজা চুল নিয়ে শুবেন না। খুব জোরে। জোরে মাথা ঘষে ভিজা চুল মুছবেন না। আলতো হাতে চেপে চেপে মাথার ত্বক থেকে পানি মুছে ফেলুন। নরম কাপড় দিয়ে মাথা মুছবেন। এছাড়া আর যা যা করতে পারেন। মেহেদিঃ আপনার প্রয়োজন মতো মেহেদি বাটা নিয়ে তাতে টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় দিন।



মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন এই ভাবে সপ্তাহে বার করে ব্যবহার করুন। 

দূর্বা ঘাসঃ দূর্বা ঘাসের রস মাথায় দিয়ে মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করুন। 

পেঁয়াজ বাটা রসঃ আধা কাপ পেঁয়াজ বাটা টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে আপনার মাথার ত্বকে লাগান ১৫-২০ মিনিট রাখুন, এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করুন। লেবুর রস সাদা ভিনেগার এবং গ্লিসারিনঃ লেবুর রস আর ভিনেগার গ্লিসারিন এরা সবাই খুব ভালোভাবে কন্ডিশনার আপনার মাথার ত্বক যদি তেলতেলে হয়। তবে লেবুর রস বা ভিনেগার এই দুটির যে কোনটি। আপনি কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন আর মাথার ত্বক যদি স্বাভাবিক বা শুষ্ক হয় তবে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে টেবিল চামচ লেবুর রস ভিনেগার গ্লিসারিন। মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ব্যবহার করলে তা ছেকে নিবেন এরপর আবার পানি দিয়ে মাথা ধোয়ার দরকার নেই।

ভিটামিন ইঃ সপ্তাহে এক দিন নারিকেল তেল বা আপনি যে তেল ব্যবহার করেন তাতে ভিটামিন ক্যাপসুল মিশিয়ে মাথা হাল্কা ম্যাসাজ করবেন। মেহেদি এবং দূর্বা ঘাস আপনার চুলের গোড়া শক্ত করে আর পেয়াজ। বাটা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এছাড়াও আপনি নারিকেল তেলে জবা ফুল আমলকি ইত্যাদি ফুটিয়ে বা রোদে শুকিয়ে সেই নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন এইসব ব্যবহার করার পাশাপাশি প্রটিন  ভিটামিন খান 

ভিটামিন যুক্ত খাবার বেশি করে খাবেন। দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ক্যাপসুল খেতে পারেন। কেনার আগে জিজ্ঞেস করে নিবেন। কারন খাওয়ার জন্য এবং চুলে দেওয়ার জন্য আলাদা ভিটামিন ক্যাপসুল পাওয়া যায় আপনি চাইলে খাওয়ারটাই চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি বংশগত ভাবে চুল পড়ে যাওয়া বা টাক হয়ে যাওয়ার ইতিহাস থাকে বা মাথার ত্বকে ছত্রাকের। আক্রমণ বা কোন অসুখের কারণে চুল পড়ে যায় তাহলে অনেক সময় ঘরোয়া উপায়ে তেমন উপকার। পাওয়া যায় না। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করার প্রয়োজন হয়।