ঠেলা এবার সামলাও গাজা হতে পারে করোনা থেকে পরিত্রানের মহা ঔষধ



 বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইউরোপ আফ্রিকা, আমেরিকা ও ভারতসহ নানা অঞ্চল ইতিমধ্যে কাবু হয়ে গেছে ভাইরাসটির সংক্রমণে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে দেশ-বিদেশে চলছে দিনরাত গবেষণা। চলছে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকারী ভ্যাকসিন ও ওষুধের প্রয়োগের সংগ্রাম। এমনই সময়, করোনার থেকে পরিত্রাণের এক অদ্ভুত পথের সন্ধান দিলেন গবেষকরা। 


এ সপ্তাহে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানান, গাঁজার ভেতরে থাকা দুটি রাসায়নিক যৌগ করোনাভাইরাসের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করতে পারে। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে মার্কিন বিজনেস ম্যাগাজিন ফোবর্স




ওরিগন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের ভাষ্য, গাঁজার ভেতরে থাকা দুটি রাসায়নিক যৌগ (ক্যানাবিজেরোলিক অ্যাসিড এবং ক্যানাবিডিওলিক অ্যাসিড) করোনা ভাইরাসের বাইরের স্তরে থাকা শুঁড়ের মতো দেখতে স্পাইক প্রোটিনের বিভিন্ন অংশকে দ্রুত ভেঙে ফেলতে পারে। এ কারণে মানুষের শরীরে ঢুকে ভাইরাসটি মানবকোষে সংক্রমণ ঘটাতে পারে না।


আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা 'জার্নাল অব ন্যাচারাল প্রোডাক্টস'-এ প্রকাশিত গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা ওই দুটি যৌগকে ব্যাবহার করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


ওরিগন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও অন্যতম মূল গবেষক রিচার্ড ব্রিমেন বলেন, গাঁজায় যে দুটি অ্যাসিডকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে দেখা গিয়েছে সেগুলো খুবই সাধারণ ও সহজলভ্য। এই অ্যাসিডগুলো শণ এবং শণের নির্যাসে সহজেই পাওয়া যায়। এগুলো গাঁজার টিএইচসি উপাদানের মতো নিয়ন্ত্রিত না এবং মানবশরীরে সুরক্ষাবলয় হিসেবে কাজ করতে পারে।




তিনি আরও বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে অ্যাসিড দুটো করোনাভাইরাসের আলফা ও বেটা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সমানভাবে কার্যকর।


অ্যাসিড দু'টির মাধ্যমে কোভিড প্রতিরোধে নতুন ওষুধ আবিষ্কার করা সম্ভব বলে জানান রিচার্ড ব্রেমেন। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সুত্রঃ